সাইবার সচেতনতা

তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করেছে সহজ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্যমতে মার্চ ২০২১ এ দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ১৭৪.৬৩ মিলিয়ন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ১১৬.১৪ মিলিয়ন এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ১০৬.৩৩ এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ব্যবহাকারী ৯.৮১। বর্তমানে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে কিশোর ও তরুণ। যাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে ঘটছে নানা বিপত্তি এবং তারা হচ্ছেন বিভিন্ন সাইবার অপরাধের শিকার।

সাম্প্রতিক সময়ে পত্র-পত্রিকা, সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলাসমূহ ও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, বাংলাদেশে যেসকল সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তার অধিকাংশের শিকার হচ্ছেন কিশোরী বয়সের মেয়েরা। শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ৭০ শতাংশ। অভিযোগের একটি বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত যার মধ্যে আইডি হ্যাক থেকে শুরু করে সুপার ইম্পোজ ছবি এবং পর্নোগ্রাফির মতো ভয়াবহ অভিযোগও রয়েছে। এসব অপরাধের শিকার হয়ে আত্মহত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক (সিসিএ)-এর কার্যালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এ সেমিনারগুলোতে ৮ম-১০ম শ্রেণীর ছাত্রীদের হাতে কলমে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

একবিংশ শতাব্দীতে দাড়িয়ে ইন্টারনেট কে অস্বীকার করার উপায় নেই। ইন্টারনেটে বিচরণ করে সারাবিশ্বের জ্ঞান ভান্ডারের দ্বার যেমনি উম্মুক্ত করতে হবে তেমনিভাবে নিজেকে সচেতন সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং একইসাথে এ বিচরণ হতে হবে নিরাপদ। তাইতো আমাদের প্রতিপাদ্যঃ