প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মত উদ্ভাবন করা হয়েছে এ বিশেষায়িত ওয়েব পোর্টালটি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ)-এ অফিসের উদ্ভাবন উদ্যোগ হিসেবে এটিকে নির্বাচিত করে। এ অফিসের উপ-নিয়ন্ত্রক (সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা ) মিস্ হাসিনা বেগম তার উদ্ভাবন প্রস্তাব হিসেবে “কন্যা কথা” ওয়েব পোর্টাল তৈরীর ধারণাটি প্রদান করেন। যা পরবর্তীতে এ অফিস-এর ইনোভেশন টিম কর্তৃক বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ)-এ কার্যালয় হতে কিশোরী মেয়েদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সাল হতে একটি কার্যক্রম পারিচালিত হয়ে আসছে। ২০২০-এ এসে Covid-19 পরিস্থিতির কারণে এ কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনসহ ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটানোর কারণে স্কুলের কিশোরী মেয়েদের সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হবার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক (সিসিএ)-এর কার্যালয় হতে পূর্বের সরাসরি উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের পরিবর্তে online প্লাটফর্ম জুম ব্যবহার করে ছাত্রীদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার ফলোশ্রুতিতে অক্টোবর ২০২০ হতে জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ৫০ টি জেলার ৪৮২ টি স্কুলের ২৭,৩৮০ জন মেয়ে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে online প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবার পর সংশ্লিষ্ট জেলার কিশোরী মেয়েদের সাথে সংম্পৃক্ত থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। “কন্যাকথা” উদ্ভাবন প্রস্তাবটি কিশোরী মেয়ে এবং তাদের সাইবার বিষয়ক জিজ্ঞাসা, মতামত ও পরামর্শের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
“কন্যাকথা” সমগ্র বাংলাদেশের কিশোরীদের জন্য একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা নিরাপদে সাইবার জগৎ এ বিচরণের উপায় সাইবার অপরাধ বিষয়ে তাদের সকল জিজ্ঞাসার উপর এ বিষয়ে তাদের মতামত রাখতে পারবে। শুধু তাই নয় প্রতি জেলা হতে দুজন করে ছাত্রীকে জেলা এ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত করা হয় । যারা এ প্লাটফর্মের সাথে তার নিজ জেলার মেয়েদের সম্পৃক্ত করবে। এক কথায় ‘কন্যাকথা’ বাংলাদেশের কিশোরী মেয়েদের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা মনখুলে সাইবার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে, এ বিষয়ে সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা করবে এবং নিজেকে একজন সাইবার যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলবে। যা তাদেরকে সাইবার অপরাধের শিকার হবার আগেই সচেতন করে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।